শনি গ্রহের দৃষ্টির কুপ্রভাব থেকে রক্ষায় হনুমান চালিশা পাঠ: পুরাণ কী বলে?
হিন্দু শাস্ত্র মতে, শনি গ্রহ যখন জন্ম ছক অনুযায়ী দুস্থানে থাকে, তখন জীবনে নানাবিধ সংকট দেখা দেয়। এই সময় হনুমান চালিশা পাঠ করলে শনির কুদৃষ্টি প্রশমিত হয় এবং জীবনে শান্তি ফিরে আসে।
📚 পুরাণ কথা অনুসারে শনি ও হনুমান জির সম্পর্ক
ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ও অন্যান্য পুরাণে উল্লেখ আছে—
ত্রেতাযুগে লঙ্কার রাজা রাবণ সকল গ্রহকে বন্দি করে নিজের প্রাসাদে রেখে দেন, যেন তাঁর পুত্র ইন্দ্রজিৎ জন্মকালীন গ্রহের সর্বোচ্চ শুভ প্রভাব পড়ে। রাবণ শনি দেবকেও বন্দি করে একটি অন্ধকূপে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখেন।
যখন হনুমান জি সীতা দেবীর সন্ধানে লঙ্কায় প্রবেশ করেন, তখন তিনি শনি দেবের ক্রন্দন শুনতে পান। করুণার বশবর্তী হয়ে হনুমান জি অন্ধকূপ থেকে শনিদেবকে উদ্ধার করেন এবং রাবণের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাঁকে মুক্ত করেন।
🙏 শনি দেবের আশীর্বাদ
মুক্তি পাওয়ার পর শনি দেব হনুমান জিকে বলেন:
"হে বজরংবলী! তুমি আমাকে রাবণের বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করেছো। আমি তোমার কৃতজ্ঞ। আমি আশীর্বাদ দিচ্ছি—যে ব্যক্তি তোমার নাম জপ করবে, তোমার স্তোত্র পাঠ করবে বা তোমার আশ্রয়ে থাকবে, তার উপর আমি কখনো কুপ্রভাব ফেলব না।"
এই আশীর্বাদ থেকেই বিশ্বাস জন্মায়—হনুমান চালিশা পাঠ করলে শনি দোষ থেকে মুক্তি মেলে।
📖 হনুমান চালিশার শ্লোক যা শনির দৃষ্টির থেকে রক্ষা করে:
“মন, বাক্য ও কর্মে যিনি হনুমান জিকে স্মরণ করেন, হনুমান জি তাঁকে সকল সংকট থেকে রক্ষা করেন।”
অর্থ: যিনি মন, বাক্য ও কর্মে হনুমান জিকে স্মরণ করেন, তিনি সকল বিপদ থেকে মুক্ত হন।
🕉️ উপসংহার:
শাস্ত্রীয় কাহিনী অনুসারে, হনুমান চালিশা শুধুমাত্র ভক্তির প্রতীক নয় — এটি শনির দৃষ্টির কুপ্রভাব থেকে সুরক্ষার এক অলৌকিক মাধ্যম। প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার শ্রদ্ধা সহকারে পাঠ করলে জীবনে শনি সংক্রান্ত বাধা কমে, এবং মানসিক শান্তি ও সফলতা বাড়ে।
আপনি যদি শনির কুদৃষ্টি থেকে কষ্টে ভোগেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চালিশা পাঠ শুরু করুন।
🔮 অনলাইন জ্যোতিষ পরামর্শ (Consultancy)
আপনি কি শনির দোষ, গ্রহের কুদৃষ্টি অথবা জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজছেন?
তাহলে এখনই অনলাইন জ্যোতিষ পরামর্শ নিন।
📞 যোগাযোগ করুন: 9836308473
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন