🪔 সাধ ভক্ষণে করণীয় ও বর্জনীয় | জ্যোতিষ মতে
সাধ ভক্ষণ বাংলার একটি চিরাচরিত ও প্রাচীন পারিবারিক অনুষ্ঠান, যা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মানসিক আনন্দ ও আশীর্বাদের জন্য আয়োজন হয়। বিশেষ করে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠান খুব বড় আকারে করা হয়। এটি মূলত গর্ভপাতের সপ্তম মাসে করা হয়ে থাকে। এই সময় মা এবং অনাগত শিশুর মঙ্গল কামনায় নানা রীতিনীতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। জ্যোতিষ মতে, এই সাধ ভক্ষণে কিছু নিয়ম মেনে চললে ফল আরও শুভ হয়। আবার কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয়।
✅ জ্যোতিষ মতে সাধ ভক্ষণে করণীয়
1. শুভ তিথি ও নক্ষত্র বাছাই করুন
সাধ ভক্ষণের জন্য অষ্টমী, নবমী বা পূর্ণিমা তিথি খুবই শুভ। রোহিণী, হস্তা, অনুরাধা ইত্যাদি নক্ষত্র শুভ ফলদায়ক। শুভ তিথির মধ্যে করবেন। শুভ তিথির সময়ের মধ্যে করবেন। যদি সঠিক সময়ের মধ্যে না করতে পারেন অমৃত যোগে করবেন ভালো ফল পাবেন।
2. সকালবেলা অনুষ্ঠান করা সব থেকে ভালো
জ্যোতিষ মতে সকালবেলায় অনুষ্ঠান করলে তা অধিক ফলদায়ক হয় এবং মায়ের ও সন্তানের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
3. পবিত্র পোশাক ও সাজসজ্জা
মা যেন লাল বা হলুদ রঙের শাড়ি পরে,(কালো কালারের শাড়ি কদাচিৎ ব্যবহার না করে) নতুন ও পরিষ্কার পোশাক ব্যবহার করে। মাথায় টিপ ও গয়নাতে সজ্জিত থাকলে শুভ।
4. সাত রকম ফল ও মিষ্টি প্রদান(সপ্তম মাসের সাধ ভক্ষণ)
অনুষ্ঠানে অন্তঃসত্ত্বা মাকে সাত রকম ফল ও পাঁচ রকম মিষ্টি খাওয়ানো উচিত, যা সৌভাগ্য বৃদ্ধি করে।
5. পরিবারের আশীর্বাদ
বড়দের আশীর্বাদ, কানে ভগবত কথা শ্রবণ করা, মঙ্গল কামনার গান বা শঙ্খধ্বনি — এগুলো শিশুর উপর শুভ প্রভাব ফেলে।
🚫 জ্যোতিষ মতে সাধ ভক্ষণে বর্জনীয়
1. অশুভ তিথিতে অনুষ্ঠান নয়
একাদশী, চতুর্দশী, অমাবস্যা কিংবা গ্রহণের দিন এই অনুষ্ঠান না করাই ভালো।
2. রাহু কাল ও গুলিক কাল এড়িয়ে চলুন।
এই সময়কালকে জ্যোতিষে শ্বাস্ত্র অনুসারে অশুভ ধরা হয়। তাই আগে দেখে নেওয়া উচিত।
3. অশান্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলা উচিত
ঝগড়া, উচ্চস্বরে চিৎকার বা অশান্ত আলোচনা অনুষ্ঠানস্থলে একেবারেই নিষেধ।
4. মাংস বা নিষিদ্ধ খাবার নয়
এই দিনে নিরামিষ খাদ্য গ্রহণ করা। অতিরিক্ত তেল-মসলা, মাংস বা কোল্ড ড্রিঙ্কস এড়ানো উচিত।
5. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা আবশ্যক
অনুষ্ঠানস্থল ও খাবারের পরিবেশ যেন নিখুঁতভাবে পরিষ্কার থাকে, তাহা নিশ্চিত করতে হবে।
🧘 উপসংহার
সাধ ভক্ষণ শুধুমাত্র একটি সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, এটি একান্তভাবে মায়ের মানসিক প্রশান্তি, শিশুর মঙ্গল কামনা ও পারিবারিক ঐক্যের প্রতীক। জ্যোতিষ মতে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই শুভ ক্ষণ আরও মঙ্গলময় হয়ে ওঠে। তাই আনন্দের সাথে সাথে সচেতন থাকাও জরুরি।
🔔 বি.দ্র: এই প্রতিবেদনটি জ্যোতিষ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস অনুযায়ী রচিত। চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ অবশ্যই প্রযোজ্য।
🔮 সন্তানের নামকরণ ও জন্ম কুণ্ডলী বিচার
সন্তানের জন্মের পর রাশি অনুযায়ী নাম রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নবজাতকের নামকরণ, অথবা নিজের জন্ম কুণ্ডলী বিচার করাতে চাইলে অনলাইনে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
📞 অনলাইনে যোগাযোগ করুন —
👉 www.astrologypred.in MOB:9836308473
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন