ASTROLOGY

একবার বললেই মঙ্গল: জীবন হবে মঙ্গলময় ! Hanuman Chalisa


 একবার বললেই মঙ্গল, তাই একবার জোরে বলুন জয় শ্রী রাম, জয় বজরংবলী। হনুমান চল্লিশা অনুবাদটা জেনে রাখুন:-

www.astrologypred.in
জয় শ্রী রাম

শ্রী গুরু চরণ পদ্মের ধূলিকণা আসে মনোরূপী দর্পনকে পবিত্র করে। শ্রী রঘুবীরের নির্মল জশ বর্ণনা করে। তাহা ধর্ম, অর্থ ও কাম চারি ফল প্রদান করে। 

হে পবন পুত্র! আমি আপনাকে স্মরণ করি। আপনি তো জানেন, আমার শরীর ও বুদ্ধি দুর্বল, আপনি আমাকে শারীরিক বল, সৎ বুদ্ধি এবং জ্ঞান দিয়ে সমস্ত দুঃখ ও দোষ দূর করবেন। 

হে হনুমান, তোমার জয় হোক। তুমি অসীম জ্ঞানী ও গুণের সাগর স্বরূপ। তোমার তুলনা তুমিই, তোমার জয় হোক। ৩ লোক অর্থাৎ স্বর্গ মর্ত্য ও পাতালে পর্যন্ত তোমার কীর্তি পরিব্যপ্ত আছে।।

হে শ্রী রামের পরম ভক্ত ও দূত! এ জগতে তোমার সমান শক্তিশালী কেহ নেই। তাই তুমি অঞ্জনা পুত্র এবং পবন তনয় রূপে পৃথিবীতে বিখ্যাত মহাপুরুষ।।

হে বজরঙ্গবলী, তোমার বিশেষ শক্তিতে তুমি শক্তিমান। তুমি জীবের কুমতি বিনাশ করে সুমতি দান কর।।

তোমার মনোহর কাঞ্চন বরণ রূপ, তোমার পরিধানের সুন্দর বসন, কর্ণে কুণ্ডলী এবং কুঞ্চিত কেশ অতি শোভ মান হয়।।

তোমার অস্ত্র বজ্র ও ধ্বজা আছে তথাপি স্কন্ধে মহা গদা সর্বদা সুশোভিত।।

হে মহারুদ্র সংকর অবতার, এ কেশরী নন্দন! তোমার পরম পরাক্রমকে জগৎবাসী বন্দনা করে ।।

তুমি অত্যন্ত চতুর ও চালাক। তুমি বৃদ্ধ বান ও মহা গুণমান। তুমি সর্বদা ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের কাজে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসো।।

তুমি সি রামচন্দ্রের গুণগান শোভন করে অসীম আনন্দ লাভ করো। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র, মাতা জানকী ও খুল্ল তাত লক্ষণ তোমার হৃদয়ে বর্তমান।।


তুমি অতি সূক্ষ্ম রূপ ধারণ করে জননী জানকী কে দর্শন করলে আবার অতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে রাবণের স্বর্ণ লঙ্কা দগ্ধ করলে।।

তুমি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে রাক্ষসকূল নিধন করলে। আর ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের উদ্দেশ্য কে সফল করার জন্য তুমি বিনা দ্বিধায় তার সমুদয় কাজে সহায়তা করলে।।

তুমি সুদূর গন্ধমাদন হতে সঞ্জীবনী ঔষধ সংগ্রহ করে লক্ষণের জীবন দান করলে। তোমার মহান কর্মে শ্রী রঘুবীর রামচন্দ্র পরম আনন্দিত হয়ে তোমার হৃদয়ে অবস্থান করেন।।

এ অঞ্জন নন্দন! ভগবান শ্রী রামচন্দ্র কর্তৃক তুমি বহু প্রশংসিত হলে। তিনি বললেন - তুমি তার ভাতা ভরতের তুল্য মহান ও ভক্তিভাজন।।

হাজার হাজার মানুষ তোমার যশো গান গাইবে। এইসব বলে সবাই তোমাকে শ্রীপতি, শ্রীরাম চন্দ্রের কন্ঠহার তুল্য দর্শন করবে।।

সনৎ কুমার, সনাতন, সনক, আদি মণিগণ ব্রহ্মাদি দেবতাগণ এমন কি শেষ নাগজীও তোমার গুনগানে চিরকাল মুখরিত।।

যশ, কুবের আদি তথা সমস্ত দিকপালগন আর কবি বিদ্বান সবাই তোমার সম্পূর্ণ যশোগান করে থাকেন।।

সুগ্রীব কে তুমি রামচন্দ্র মিলিয়ে দিয়েছ। ভগবান রামচন্দ্র কে তোমার কৃপায় মানবকুল দর্শন লাভ করেছে। তোমার কৃপায় তিনি রাজপদ পেয়েছেন।।

তোমার পরামর্শে বিভীষণ ভগবানের চরণ দর্শন পেলেন। তোমারই কৃপায় তিনি রামচন্দ্রকে অনুসরণ করে রাজ্য লাভ করেন।।



যে সূর্য হাজার যোজন দূরে অবস্থান করছে, যার কাছে পৌঁছতে হাজার যুগ লাগে সেই সূর্যদেব নিজেই তোমাকে ফল দান করেছিলেন।।

তুমি ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের দ্বারা সমুদ্র অতিক্রম করেছিলেন। তার ফলে বিশাল জলধি তোমাকে সহায়তা করেছিল।।

সংসারে সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ সহজেই তুমি তা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলে। দুর্গম কাজকে তুমি একমাত্র সুগম করতে পেরেছিলে।।

তুমিই শ্রী রামচন্দ্রের মঙ্গল কারণে দ্বার রক্ষা করেছিলে। তোমারি আদেশ ব্যতীত সেখানে কেউ প্রবেশ করতে সাহস পায়নি।।

তোমার নাম স্মরণকারী ব্যক্তি সকল প্রকার সুখ প্রাপ্ত হতে পারে। তোমাকে যে নিত্য স্মরণ নেয় তার কোন উপকার ভয় থাকে না।।



তোমার তেজ কেবল তুমিই ধরে রাখতে পারো বা সহ্য করতে পারো। সে শক্তি একমাত্র তোমারই আছে। তোমার সিংহ গর্জনে ত্রিভুবন কম্পমান হয়ে থাকে।।

হে অঞ্জন পুত্র! যে তোমার মহাবীর নাম জপ করতে থাকে তার পাশে কোন ভূত-প্রেত ও দুষ্টু ব্যক্তি আসতে পারে না বা তার কোন প্রকার অনিষ্ট করতে পারে না।।

হে বীর হনুমানজী! নিরন্তর তোমার নাম স্মরণ করলে সকল প্রকার রোগের বিনাশ ঘটে। তোমার মঙ্গলময় নামে জীবের সকল কষ্ট দূরীভূত হয়।।





যে ব্যক্তি সংসারে সকল কাজের মাঝে তোমার নাম ধ্যান ও জপ করে থাকে তার সকল প্রকার দুঃখ কষ্ট বিলুপ্ত হয়ে যায়।।

রাজা শ্রী রামচন্দ্রজী সর্বশ্রেষ্ঠ তপস্বী। তুমি নিজেই তার সকল কাজ সম্পন্ন করে ত্রি জগতে ধন্য হয়েছ।।

তোমার উপাসক ব্যক্তি কোন কিছু অভিলাষ করলে তোমার কৃপায় তার চেয়ে অভিলাষ পূরণ হয়ে থাকে তুমিই একমাত্র সক্ষম আছো সকল জীবের কামনা-বাসনা পূরণ করতে।।

তোমার যশোগান সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি চারি যুগে বিদ্যমান আছে। সমগ্র সংসারে তোমার কীর্তি প্রকাশিত আছে। তাই সমগ্র জগৎ আজ তোমার উপাসক।।

হে শ্রী রামচন্দ্র স্নেহাশ্রিত হনুমানজী। তুমি সাধু ও ধর্ম প্রাণা ব্যক্তিদের রক্ষা করো এবং অসুরিক আচার সম্পন্ন ব্যক্তিদের বিনাশ কর।।

এ কেশরী নন্দন! সিতা মাতা তোমাকে এমন বর প্রদান করলেন, তাতে তোমার অষ্টসিদ্ধি ও নৌসিদ্ধির কারণ হয়ে গেল।।

তুমি সর্বদা শ্রীরাম রঘুনাজীর স্মরণ থাক। তাই তোমার নিকট থেকে বিদ্ধাবস্থা ও অন্ধত্ব রোগ বিদুরিত হয়ে থাকে। "রাম - রাম"নামের ঔষধি তোমার সবেরই কারণ।।

তোমাকে ভজনকারী ভক্ত ভগবান রামচন্দ্রকে দর্শন পেতে সক্ষম হয়। আর সে ভক্তদের জন্ম জন্মান্তর সকল দুঃখ রাশি বিনাশ প্রাপ্ত হয়ে থাকে।।

তোমাকে ভজনকারী ভক্ত প্রাণী অন্তকালে ভগবান শ্রী রঘুনাথজীর ধামে দর্শন করেন। সে প্রাণী মৃত্যুর পরেও হরি ভক্ত হয়ে থাকে।।







এ হনুমানজী! যে ভক্ত সাত সমনে তোমার সেবা করে থাকে সেই সর্বপ্রকার সুখ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। তার অন্য দেবতাকে পূজা করতেই হয় না। একমাত্র তোমার সেবা দ্বারা সব লাভ হয়।।

হে মহাবীর হনুমানজী,! যে ব্যক্তি তোমাকেই সর্বদা স্মরণ নিয়ে থাকে তার সকল সংকট মোচন হয়। তাকে আর কোন দুঃখের সম্মুখীন হতে হয় না।।

হে বীর হনুমানজী! তোমার সর্বদা জয় হোক। জয় হোক -জয় হোক। তুমি গুরুদেবের সমান কৃপা করে থাকো, তাই সর্বদা তোমার উপাসনা করি।।

যে ব্যক্তি শুদ্ধ মনে প্রতিদিন শতবার তোমার চালীশা পাঠ করে তাকে তার সাংসারিক বন্ধন মোচন হয়ে পরমানন্দ লাভ হয়ে থাকে।।

গৌরী প্রতি ভগবান শংকরজী হনুমান চালীশা রচনা করে গেছেন। ইহা নিত্য পাটের সফলতা প্রাপ্ত হওয়া যায়।।

যে মোর নাথ হনুমানজী! তুলসী দাস সর্বদা শ্রী রামের দাস ছিলেন। তিনি শ্রী রামের দাসবৎ ছিলেন। তুমিও।।

হে পবন পুত্র! তুমি সকল প্রকার সংকট হরণকারী। তুমি জগতের মঙ্গলমূর্তি স্বরূপ। আমর প্রার্থনা তুমি শ্রীরামচন্দ্র, মাতা সীতা, ও লক্ষণ সব আমার হৃদয়ে বাস কর। হে অঞ্জনা সুত তোমার জয় হোক। 

                 ইতি - শ্রী হনুমান চালীসা



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

Guidelines for Taurus Individuals Purchasing Lottery Tickets

  Guidelines for Taurus Individuals Purchasing Lottery Tickets বৃষ রাশির ব্যক্তিদের জন্য লটারি টিকিট কেনার নির্দেশিকা বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদ...