ASTROLOGY

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী ব্যক্তিগত জন্ম কুণ্ডলী বিচার করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারী?

 জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী ব্যক্তিগত জন্ম কুণ্ডলী বিচার করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারী?



জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, ব্যক্তিগত জন্ম কুণ্ডলী বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এটি  আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন,  শিক্ষা,  কর্ম,  বিয়ে,  সন্তান,  আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে  ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহায্য করে।  জন্ম তারিখ,  সময় এবং স্থানের উপর ভিত্তি করে  কুণ্ডলী তৈরি করা হয় এবং  গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণ করে  ভবিষ্যৎ  বাণী  প্রদান করা হয়।  একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর  সাহায্য নেওয়া  জরুরি,  কারণ  তিনি কুণ্ডলী সঠিক  বিশ্লেষণ  করে  ভবিষ্যতের  সম্ভাব্য  ঘটনা  সম্পর্কে  সঠিক  মার্গ দর্শন  দিতে  পারবেন।  এই  মার্গ দর্শনের  মাধ্যমে  আমরা  জীবনের  বিভিন্ন  প্রতিকূল  পরিস্থিতির  জন্য  প্রস্তুত  থাকতে  পারি  এবং  সুযোগগুলি  সদ্ব্যবহার  করতে  পারি।

বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র, যা ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র নামেও পরিচিত, হিন্দুধর্মের বেদ থেকে উদ্ভূত একটি প্রাচীন জ্ঞান। এটি স্বর্গীয় বস্তুর অবস্থান এবং গতিবিধির উপর ভিত্তি করে মানুষের জীবন এবং ভাগ্যের ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি পদ্ধতি। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র বিশ্বাস করে যে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে এবং এই প্রভাব গুলি বোঝার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করতে পারি।

সামুদ্রিক জ্যোতিষশাস্ত্র, প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যা নক্ষত্রের অবস্থান এবং গ্রহের গতিবিধির উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎবাণী করে।  এটি ব্যক্তির জন্ম সময়ের নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণ করে তার জীবনের বিভিন্ন দিক, যেমন ব্যক্তিত্ব, সম্পর্ক, কর্মজীবন, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান করে।

নাড়ী জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্র আয়ুর্বেদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।  নাড়ী পরীক্ষা করে একজন অভিজ্ঞ বৈদ্য রোগ নির্ণয় করতে পারেন।  শুধু তাই নয়,  নাড়ীর স্পন্দন পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যৎবাণী ও করা হয়, যা  নাড়ী জ্যোতিষ নামে পরিচিত।  এই পদ্ধতিতে  ব্যক্তির  শারীরিক ও মানসিক অবস্থা,  সাফল্য, ব্যর্থতা, আয়ু  ইত্যাদি বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্রে কৃষ্ণমূর্তি পদ্ধতি একটি অনন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  এটি মূলত কে.এস. কৃষ্ণমূর্তি দ্বারা প্রবর্তিত।  এই পদ্ধতিতে,  গ্রহের অবস্থান এবং নক্ষত্রের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়।  এটি  প্রাচীন  জ্যোতিষশাস্ত্রের  নিয়ম  থেকে  ভিন্ন  এবং  অনেক  ক্ষেত্রে  অধিক  সুনির্দিষ্ট  ফলাফল  প্রদান  করে।

ফলিত জ্যোতিষশাস্ত্র হল জ্যোতিষ বিদ্যার একটি শাখা যা ব্যক্তিগত জন্ম পত্রিকা বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎবাণী করার চেষ্টা করে। এটি জন্মের সময় গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের ঘটনা সম্পর্কে ধারণা দেয়।  ফলিত জ্যোতিষশাস্ত্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন: ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক, কর্মজীবন, আর্থিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি।

গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে এক গভীর ও  ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। জ্যোতির্বিজ্ঞানের  অনেক  গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার  গণিতের  বিভিন্ন শাখার, যেমন ক্যালকুলাস, ত্রিকোণমিতি এবং জ্যামিতির  উপর নির্ভরশীল।  গ্রহের গতিপথ, নক্ষত্রের অবস্থান এবং মহাজাগতিক ঘটনাবলী ব্যাখ্যা করার জন্য  গণিতের  প্রয়োগ অপরিহার্য।

জন্ম কুণ্ডলী বিচার সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন। 

অনলাইন পরামর্শ পরিষেবা উপলব্ধ।

মোবাইল: ৯৮৩৬৩০৮৪৭৩


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

How to Identify an Intelligent Child: According to Astrology

How to Identify an Intelligent Child: According to Astrology