রাহু গ্রহের এই খারাপ এর কারণ সাজা পেতে হয়।
রাহু নিজে এই কাজগুলি করায়। জীবনে কোন একটি সংকট হঠাৎ করে আসে না। সংকট হবার আগে কিছু মুহূর্ত অবশ্যই বোঝা যায়। কিছু ঘটনা ঘটার আগে সংকেত অবশ্যই পাওয়া যায়। রাহু কিভাবে কাজ করে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন। রাহু গ্রহ যখন দেয় দুহাত ভরিয়ে দেয় এবং যখন নেয় রাস্তায় বসিয়ে দেয়। আমাদের কোন কোন বিষয়ের উপরে সতর্ক থাকা দরকার সেটি জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে আলোচনা করব। যেখানে যেখানে আমাদের খামতি আছে সেটি যদি আমরা পূর্ব থেকে বুঝতে পারি তাহলে অনেক সম্ভাবনাকে এড়িয়ে যেতে পারবো। আমরা জ্যোতিষ শাস্ত্রে যে নটি গ্রহ নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করি তার থেকে সবথেকে রাহু গ্রহের মধ্যে এনার্জি বেশি থাকে। বাস্তবিক ক্ষেত্রে রাহু কোন গ্রহ নয় এটি একটি ছায়া গ্রহ তথাপি এই কলি যুগে এই গ্রহের কার্যকারিতা সব থেকে বেশি । বিভিন্ন ব্যক্তির জন্ম কুণ্ডলী বিচার করলে পাওয়া যায়। রাহু গ্রহ একটি ভ্রম সৃষ্টি করে আমাদের মনের মধ্যে। যখন কোন ব্যক্তি মনের মধ্যে কনফিডেন্স নিয়ে যে কাজ করে সেই কাজের মধ্যে এরাও কিন্তু অন্তর্নিহিত থাকে। ধরুন কোন ব্যক্তি খুব দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে, তিনি ভালো পারদর্শী মনে করেন যে কোন সমস্যা আসুক না কেন আমি নিজেকে কন্ট্রোল করব। কিন্তু তার মনের মধ্যে আরও দ্রুত কিভাবে যাওয়া যায় একটি খুশির মধ্যে থাকা মনের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করা এটি কিন্তু রাহু নিয়ে আসে। এর উপায় কি সেটি অবশ্যই জানবেন। এর উপায় হল আপনাকে একটি গন্ডির মধ্যে থাকতে হবে অর্থাৎ একটি লিমিটের মধ্যে আপনাকে থাকতে হবে। ধরুন আপনি কারোর সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন বিপরীত দিকে কোন মহিলা আছে অথবা পুরুষ আছে অবশ্যই আপনাকে সেই রকম মন মানসিকতা নিয়ে কথা বলতে হবে।আপনি যখন কোন বাজারে ইনভেস্ট করবেন সেটি অবশ্যই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রেখে করতে হবে। আপনি যখন সুরা পান করছেন অবশ্যই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সুরা পান করতে হবে। এককথায় বলতে হলে আপনি যাহাই করুন না কেন সেটি যেন আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে। যখনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তাহলে জানবেন রাহুল প্রভাব কিন্তু আপনার মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। রাহু নেগেটিভ এনার্জি প্রভাব তৈরি করছে। এই রাহু প্রভাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে আপনারা দেখবেন আশেপাশের লোকজন যারা আছে যে সমস্ত খারাপ ব্যক্তি তাদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা হয়ে উঠছে। এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে চিন্তাভাবনা একটি বড় পরিবর্তন সেটি লক্ষ্য করা যাবে। সব সময় কিভাবে হঠাৎ করে বড়লোক হওয়া যাবে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি করা যাবে এইরকম চিন্তাভাবনায় মত্ত থাকবে। আর এই সমস্ত ব্যক্তিরা যখনই ব্যর্থতা হবে তাদের মধ্যে বলতে দেখা যাবে আমার ভাগ্য খারাপ আমার পারিবারিক অবস্থা খারাপ তাই জীবনে আমি উন্নতি করতে পারিনি। অর্থাৎ তাদের ব্যর্থতা অন্য ব্যক্তির মধ্যে চাপিয়ে দেবে। এরা কখনোই নিজের দোষ দেখবে না জীবনে যাহাই সমস্যা হবে না কেন অন্য ব্যক্তির মধ্যে চাপিয়ে দেবার প্রবণতা থাকবে। রাহু প্রভাবিত ব্যক্তিরা আপনি দেখবেন দেবে কম নেবে বেশি এইরকম তাদের মধ্যে মানসিকতা থাকবে। আমাদের জন্মকালীন কুণ্ডলীতে রাহু গ্রহের অবস্থান অনেকটা কিন্তু নির্ধারিত করে সেই সমস্ত ক্ষেত্রে যদি নিজেকে কন্ট্রোল করা যায় তাহলে অনেক নেগেটিভ এনার্জি দূরে সরিয়ে রাখা যাবে। রাহু গ্রহ যদি লগ্ন অনুসারে আপনার প্রথম ঘরে অবস্থান করে তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাস্তবিক চিন্তাভাবনা করতে হবে যেগুলি হবার নয় সে রকম চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকতে হবে। লগ্ন অনুসারে যদি দ্বিতীয় ঘরে অবস্থান করে রাহু গ্রহ তাহলে অবশ্যই কথাবার্তার উপরে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। এবং বাজার বুঝে ইনভেস্ট করতে হবে,কোন কিছু ক্ষেত্রে হঠাৎ করে লাভবান হওয়ার মন মানসিকতা নিয়ে করলে হবে না। রাহু গ্রহ যদি জন্ম কুণ্ডলী তৃতীয় ঘরে অবস্থান করে তাহলে অবশ্যই ভাইবোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তির প্রতি বেশি আস্থা রাখলে চলবে না। রাহু গ্রহ যদি চতুর্থ ঘরে অবস্থান করে তাহলে অবশ্যই আপনার বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যদি আপনার মধ্যে রাহু নেগেটিভ এনার্জি থাকে তাহলে আপনার মধ্যে যে সমস্ত সমস্যা বহুল ঘরবাড়ি, ভূমি এই সমস্ত কেনার প্রবণতা আপনাদের মধ্যে থাকবে। রাহু গ্রহ যদি জন্ম কালীন কুণ্ডলীতে পঞ্চম ঘরে অবস্থান করে তাহলে অবশ্যই আপনার মধ্যে লটারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথেষ্ট আগ্রহ দেখতে পাওয়া যাবে। আশেপাশের ব্যক্তি বর্গ দ্বয় থেকে আপনার বদনাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। রাহু গ্রহ যদি ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করে আপনার মধ্যে একটু লোভ থাকবে এবং ঋণ নেবার প্রবণতা থাকবে কিভাবে সেই ঋণ যে পরিশোধ করবেন সেটা মনের মধ্যে থাকবে না। রাহু গ্রহ যদি সপ্তম ঘরে অবস্থান করে আপনার পার্টনারের প্রতি যথেষ্ট ডিমান্ড থাকবে। বহুমুখী ভাবনা মনের মধ্যে থাকবে। রাহু গ্রহ যদি অষ্টম করে অবস্থান করে সমস্ত কিছু সিস্টেম চেঞ্জ করার পরিবর্তন করার চিন্তা একটা মনের মধ্যে থাকবে। রাহু গ্রহ যদি নবম ঘরে অবস্থান করে তাহলে পূর্ব পুরুষের কিছু রীতিনীতি থেকে বাইরে আপনি চলে আসবেন। আপনার কাছে মনে হতে পারে আমি যাহা জানি সব জানি ভালো জানি। রাহু গ্রহ যদি দশম ঘরে অবস্থান করে। বহুমুখী কাজের ভাবনা কাজে মন বসবে না যে কোন কাজের ক্ষেত্রে মনে হতে পারে আমার জন্য অন্য কর্ম অপেক্ষা করছে। রাহু গ্রহ যদি একাদশ স্থানে অবস্থান করে তাহলে ইনকামের ক্ষেত্রে একটি ওঠানামা দেখতে পাওয়া যাবে যখনই একটি পরিকাঠামো নিয়ে আপনি পড়ে আছেন সেখান থেকে ইনকাম শুরু হবে তখনই সেখান থেকে আপনি সরে আসবেন। রাহু গ্রহ যদি দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করে অবশ্যই কিছু দান আপনাকে করতে হবে এবং নিজের প্রতি যত্নবান অবশ্যই হতে হবে।
রাহ গ্রহ নির্দেশ করে আগুন, নোংরা নালা নর্দমা, ধোঁয়া কার্বন ডাই অক্সাইড। এই সমস্ত ক্ষেত্রে রাহু একটিভ থাকে তাই অবশ্যই এই সমস্ত ক্ষেত্র থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে এবং আপনি যাহাই করুন না কেন সেটি আপনার যেন কন্ট্রোলের মধ্যে থাকে সেটিকে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই আপনি রাহু গ্রহের নেগেটিভ এনার্জি থেকে দূরে থাকবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন